Menu

More

Monday, December 23, 2024
Light
Dark

দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে কম বেতন বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষকদের

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন সর্বনিম্ন। শিক্ষকরা বলছেন, তাদের বেতন দেয়া হয় তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর গ্রেডে, যা দিয়ে জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতেই হিমশিম অবস্থা। শিক্ষাবিদরা বলছেন, সামাজিক মর্যাদা ও বেতনসহ সুযোগসুবিধা না বাড়ালে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহ হারাবেন।

১ মিনিটে পড়ুন

রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খাইরুন নাহার লিপি। জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষকের স্বীকৃতি পাওয়া এই শিক্ষক দুই যুগ ধরে শিক্ষকতা করছেন। কিন্তু তিনি যা বেতন পাচ্ছেন তা দিয়ে পরিবারের খরচ মেটানোতো দূরের কথা; ঢাকায় মাথা গোঁজার বন্দোবস্ত করতেই হিমশিম অবস্থা।


একই অবস্থা অন্যান্য সহকারী শিক্ষকদেরও। যুগের পর যুগ নেই পদোন্নতি। দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন দেয়া হয় ১৩ তম গ্রেডে। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর গ্রেডে বেতন দিয়ে প্রথম শ্রেণির নাগরিক তৈরির দায়িত্ব দেয়াকে বৈষম্যমূলক বলছেন তারা।


দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে কম বেতন পান বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। অঙ্কের হিসেবে যা ১৭০ ডলার। মালদ্বীপের শিক্ষকরা বাংলাদেশের শিক্ষকদের তুলনায় প্রায় পাঁচগুণ ৯৫৩ ডলার বেতন পান। নেপালে সহকারী শিক্ষকদের বেতন ৪৬৭ , ভুটানে ৩৪১, শ্রীলঙ্কায় ২৫০, ভারতে ২৮৪, পাকিস্তানে ২০৬ ডলার। আর মিয়ানমারে ১৮৯ ডলার।
 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম বলছেন, মেধাবী শিক্ষক ছাড়া জাতি বির্নিমাণ অসম্ভব। আর মেধাবীদের এ পেশার আকৃষ্ট করতে সামাজিক মর্যাদা, বেতনসহ সুযোগসুবিধা বাড়ানোর বিকল্প নেই।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হাকিম বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষকদের সুযোগ আরও বাড়ানোর বিষয়ে তারা আন্তরিক। এরইমধ্যে সরকার কিছু উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি পেশাগত দক্ষতার ওপরও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফদরের মহাপরিচালক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *